প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনস্থ অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) বাংলাদেশের ৪,৫৩৬টি ইউনিয়নে ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্র পরিচালনা করে থাকেন। এই কেন্দ্রগুলো স্থানীয় জনগণকে নামমাত্র চার্জে আইসিটি যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে মানসম্মত সেবা দিয়ে থাকে।
২০১১-১২ অর্থ বৎসরে সরকারী হাসপাতালগুলো অটোমেশনের কাজ শুরু হয়েছে।এ বছর জাতীয় কিডনী রোগ ও ইউরোলজি ইনস্টিটিউট, সরকারী কর্মচারী হাসপাতাল ও মোহাম্মদপুর ফার্টিলিটি সেন্টার অটোমেশন করার কাজ শুরুর জন্য কার্যাদেশ প্রদান করা হয়েছে। অগ্রগতি সন্তোষজনক। ২০১২-১৩ অর্থ বৎসরে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট এ জাতীয় অর্থোপেডিক ইনস্টিটিউট অটোমেশন কর্মসূচীর আওতায় আনা হয়েছে যার বাস্তবায়ন কাজ শুরু পথে।
তথ্য প্রযুক্তির প্রয়োগ সরকারী স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার দক্ষতা বৃদ্ধিতে আশীর্বাদ হিসেবে দেখা দিয়েছে। সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা শত শত স্বাস্থ্য বিভাগীয় অফিস ও হাসপাতালগুলোতে নির্দেশনা প্রদান এবং সেগুলোর কাজ ও সেবার পরিমান তথা মান সম্পর্কে
দেশের সকল নাগরিকের তথ্য সম্বলিত একটি স্থায়ী ইলেক্ট্রনিক হেলথ রেজিস্ট্রি তৈরির কাজ এখন দ্রুত এগিয়ে চলেছে।এজন্য বাংলাদেশের সকল গ্রামে পরিচালিত একটি স্বাস্থ্য শুমারীর মাধ্যমে সকল পরিবারের সকল নাগরিকের প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের কাজ শেষ করা হয়েছে।
জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেম বা জিআইএস পদ্ধতি প্রয়োগে দেশের কোথায় কি স্বাস্থ্য সেবা আছে, কোথায় নেই, কোথায় প্রয়োজন, এসব তথ্য বিশ্লেষন করে সঠিক পরিকল্পনা ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেয়ার ব্যবস্থা ধীরে ধীরে গড়ে তোলা হচ্ছে।